শিমুল তালুকদার:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সাজনপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১৭ মে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাজনপুর বাজারের একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন ভেদরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জিএম আমির হোসেন।
মহিষার ইউনিয়নের প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র সাজনপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার সাজনপুর বাজারে আগুনে পুড়ে গেছে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এ সময় ১ ফায়ার ফাইটারসহ ৩ জন অহত হয়েছে।
স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা ও ফায়ার সার্ভিস প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিক বাজার বনিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির খান ও ফায়ার ফাইটার সাদিকুর রহমান শুভ ও পাশের ব্যবসায়ী আব্দুল করিম মনু মোল্যা আহত হয়।
আহতদের চিকিৎসার জন্য ভেদরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফায়ার ফাইটার সাদিকুর রহমানের অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত পাশের ব্যবসায়ী আব্দুল করিম মনু মোল্যাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে সাজনপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির খানের দোকানের পিছনে বিদ্যুৎ এর সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন তার দোকানসহ পাশের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নগদ ১২ লক্ষ টাকাসহ আড়াই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত করা হয়। এক ঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে তার সঠিক কারণ তদন্তের পরে বলা যাবে। ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা সাধ্যমত সহযোগিতা করবো।
এ ঘটনায় বিএনপি নেত্রী ও সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট সরদার শিরিন সাজনপুর বাজারের সভাপতি হুমায়ুন খানের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মালের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঐতিহ্যবাহী সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও ভেদরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ভুট্টো মজুমদার সহ উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন।
ভেদরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জিএম আমির হোসেন বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করি। এ সময় আমার এক সহযোদ্ধা গুরুতর আহত হয়।
Facebook Comments