আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদক:
“অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শরীয়তপুর ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ও ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪ পালিত হয়।
৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শুরুতেই সকালে জেলার মোট ১১ জন প্রতিবন্ধীকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার উপহার দেন। র্যালী এবং আলোচনা শেষে ৩৩ জনকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয় এবং ৩জন প্রতিবন্ধীকে ৮৮ হাজার টাকা সুদ মুক্ত ঋণ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, এই দিবসটা শুধু যেন দিবসের মধ্যেই সীমিত না থাকে। আমাদের অনেক কিছুই এখন আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর হয়ে গিয়েছে। এই বৃত্ত থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকটি দিবসের যে প্রতিপাদ্য থাকে। সেই প্রতিপাদ্য কে মাথায় রেখে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। এবার যেটা প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে। সেটা হলো, “অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ” আমরা শুধু টেকসই উন্নয়নের কথা বলি। টেকসই টা কখন হয়। যখন সেটা যুগের চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থকে মাথায় রেখে সেই কর্যক্রম গ্রহণ করা হয় এবং সেটা যদি পরিচালিত হয় তাহলেই সেটা টেকসই হবে। মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য যদি কোন কিছু গ্রহণ করা হয়। কোন একটা বিশেষ গোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে কোন কিছু গ্রহণ করা হয়। তাহলে অবশ্যই সেটা টেকসই হবে না। সবাইকে নিয়ে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এসময় তিনি জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য তথ্যের ভিত্তিতে বলেন, প্রথমে আমরা দেশের প্রতিবন্ধীদের তথ্য পেলাম এবং শেষে ডিডি মহোদয় বললেন, শরীয়তপুরে হচ্ছে ২০ হাজার ৫৯৩ জন প্রতিবন্ধী আজকে সকাল পর্যন্ত। এই হচ্ছে তথ্য। এটা খুব বিশাল একটা সংখ্যা। আমারা যদি শুধু শরীয়তপুর নিয়ে কাজ করি। এই এতো সংখ্যক মানুষকে পেছনে রেখে বা তাদেরকে কোন ভাবে আড়ালে রেখে আমরা যে কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। তাহলে কিন্তু সেটা কোন ভাবেই টেকসই হবে না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি যটা অনুভব করি। সব শেষে তিনি বলেন, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ। এগিয়ে যাবে তখনই যখন পলিটিকাল সেক্টর সহ সরকারি সেক্টরে কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় যেন প্রতিবন্ধীরা আসতে পারে। তাদের জন্য যাতে উল্লেখ যোগ্য রিপ্রেজেন্টেশন থাকে। সব মিলিয়ে যে পরামর্শ গুলো এসেছে আমরা সব কিছু উত্থাপন করবো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া জেরিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফ উজ জামান, মাওলানা খলিলুর রহমান সহ আমনন্ত্রিত এনজিও প্রতিনিধি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
Facebook Comments