শরীয়তপুরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে

আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদক:

৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিকটস্থ থানায় জমা প্রদানের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী বেসামরিক জনগণ এবং সেনা সদস্যদের আদেশ প্রদান করেন শরীয়তপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। আদেশটি জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রচার করা হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জেলার বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে। বিষয়টি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারী থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি ১১৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করেছেন। তার মধ্যে ১৯টি লাইসেন্স পায় সেনা সদস্যরা। বেসামরিক জনগণদের দেওয়া ৯৬টি লাইসেন্সের বিপারীতে ইতোমধ্যে ৯৩টি অস্ত্র নিকটস্থ থানায় জমা পড়েছে। অপর ৩টি লাইসেন্সের বিপরীতে কোন অস্ত্র ক্রয় হয়নি বলে জানানো হয়েছে। সেনা সদস্যদের দেওয়া লাইসেন্সধারী ৭ জন সেনা সদস্য এখনও চাকুরীরত থাকায় তাদের লাইসেন্স থানায় জমা করা হয়নি। অবসরে যাওয়া অপর ১২ জন সেনা সদস্য তাদের লাইসেন্স থানায় জমা করেছেন। এক কথায় ১১৫টি লাইসেন্সের বিপরীতে ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা পড়েছে।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দায়িত্বরত ডিআইও-১ মো. কামরুল হোসেন তালুকদার জানায়, শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএম জাহাঙ্গীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি থেকে একটি লাইসেন্স পেয়েও কোন অস্ত্র ক্রয় করেনি। জাজিরা উপজেলায়ও দুইটি লাইসেন্সের বিপরীতে কোন অস্ত্র ক্রয় করা হয়নি। তাই বেসামরিক জনগণকে দেওয়া ৯৬টি লাইসেন্সের বিপরীতে ৯৩টি লাইসেন্স জমা পড়েছে। শরীয়তপুর থেকে লাইসেন্স নিয়ে অনেকে জেলার বাহিরে অবস্থান করছেন তারা নিকটস্থ থানায় লাইসেন্স জমা দিয়ে জিডির কপি আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। সেনা সদস্যদের দেওয়া ১৯টি লাইসেন্সের বিপরীতে ১২টি অস্ত্র পেয়েছি। অপর ৭ সেনা সদস্য এখনও চাকুরীরত থাকায় তাদের আগ্নেয়াস্ত জমা করার প্রয়োজন নাই।

Facebook Comments

About T. M. Golam Mostafa

Check Also

শরীয়তপুর হাসপাতালে নার্স-কর্মচারীদের মারধর, প্রতিবাদে চিকিৎসা সেবা বন্ধ

আশিকুর রহমান হৃদয়: শরীয়তপুর ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালের পাঁচ কর্মচারীকে এক রোগীর স্বজনরা মারধর করেছেন …

কপি না করার জন্য ধন্যবাদ।