সানজিদ মাহমুদ সুজন:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রত্যাশীদের একটি শান্তিপূর্ন মানববন্ধন করেন।
৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মিরপুর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা একটা বিধিমালা রয়েছে; যেটি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ নামে পরিচিত। উক্ত বিধিমালার ৮ এর ২ (গ) ধারায় উল্লেখ আছে যে, অন্য কোন বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে যাহাই থাকুক না কেন এই বিধিমালার অধীনে সরাসরি নিয়োগযোগ্য হবে। তাছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষক নিযোগ বিধি প্রজ্ঞাপন নয়।
সাম্প্রতিক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালযের কোটা বিষযক প্রজ্ঞাপনের সাথে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা- ২০১৯ সাংঘর্ষিক নয়। তাই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ সময় চাকুরী প্রত্যাশিরা আরও বলেন, ২য় ধাপের রেজাল্ট প্রকাশ করা হলেও তৃতীয় ধাপের রেজাল্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমাদের লিখিত পরীক্ষা গত ২৯ মার্চ সম্পন্ন হয় এবং মৌখিক পরীক্ষা সর্বশেষ গত ১২ জুন সম্পন্ন হয়। তাছাড়া, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর ১ম ও ২য় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে; যেখানে সর্বশেষ প্রণীত বিধিমালা- ২০১৯ অনুসারেই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু একই নিয়োগে তৃতীয় ধাপে অন্য কোনো নীতি অনুসরণ করা হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ, অযৌক্তিক ও আমাদের প্রতি বৈষম্য হবে। এই বৈষম্য বিরোধী বাংলাদেশ গড়ার প্রারম্ভেই এই বৈষম্য কেনো এমনটাই প্রশ্ন রাখেন বক্তারা।
তারা বলেন, গত ১৪ দিন পূর্বে প্রেসক্লাব ও এখানে মানব বন্ধন করলে তারা আমাদের সাত দিনের মধ্যে রেজাল্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু সাত দিন পার হয়ে গেলেও তা পূরন করেন নি। একই নিয়োগে অন্যান্য এলাকায় নিয়োগ হয়ে গেলেও আমরা আমাদের চূড়ান্ত রেজাল্ট পাচ্ছি না।
Facebook Comments