সম্পাদকীয়:

বেপরোয়া শাহীনুর আক্তারকে থামাতেই হবে

ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর শাহীনুর আক্তার যেন থামছেই না। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমাজের নানা স্তরে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। যা এখন ভেদরগঞ্জে ‘টপ অব দ্যা টাউন’। চায়ের আড্ডায়, অফিস পাড়ায়, সামাজিক সম্মেলনে শাহীনুরের দুর্নীতির খবর নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছেই। তাকে নিয়ে বিব্রত তার অফিসের কর্তারা। ইতোমধ্যে তার দুর্নীতি তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তবে তদন্ত যেন নিরপেক্ষ হয়, তদন্ত যেন ঠিকঠাক হয়। নাম মাত্র তদন্তের রেওয়াজ যেন পুনরায় বর্ধিত না হয়। আমাদের দেশে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়, তদন্ত হয়, তবে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার সংস্কৃতি আমরা এখানো চালু করতে পারিনি। শাহীনুরের বিরুদ্ধে তদন্তে যেন সে কালিমা লেপন না হয়।

সঠিক নিরপেক্ষ তদন্ত হলে শাহীনুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যথাযথভাবে প্রমাণিত হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। আর যদি তা প্রমাণিত না হয় তা হলে যেন রিপোর্ট মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তা না হলে সমাজে আরো অনেক শাহীনুর সৃষ্টি হবে এবং তাদের মাধ্যমে আমরা কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হব। সুতরাং শাহীনুরদের আর্বিভাব ঠেকাতেই হবে মানবতার বিকাশ সাধনের জন্য। থামাতেই হবে শাহীনুরদের। মনে রাখতে হবে শাহীনুরদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। হাতে গনা কয়েকজনের জন্য দেশ, জাতী, রাষ্ট্র কলুষিত হতে পারে না। সমাজ ও সভ্যতা ধ্বংস হতে পারে না। অনিয়ম দুর্নীতির কালচার ছড়িয়ে যেতে পারে না। আমাদের নিজেদের জন্যই শাহীনুরকে থামাতে হবে। তাকে থামাতে পারলে জয় হবে মানবতার।

Facebook Comments

About T. M. Golam Mostafa

Check Also

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মো: রায়েজুল আলম // শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। …

কপি না করার জন্য ধন্যবাদ।