শরীয়তপুরের জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে বের হয়ে গেল যুবকের নাড়িভুঁড়ি

সানজিদ মাহমুদ সুজন:

 

শরীয়তপুরের জাজিরায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণে সজিব মুন্সী (২৫) নামের এক যুবকের পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। আহত সজিব মুন্সী উপজেলার মিয়া চাঁন মুন্সীকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সীর ছেলে।

২৭ মার্চ বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মহরখাঁর কান্দি এলাকায় এঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক এবং সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় দুপক্ষের সমর্থকরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় ককটেল বিস্ফোরণে সজিব ‍মুন্সীর পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে। এর আগেও তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা-হামলা হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে সজিবকে আহত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। আমরা যেটা দেখতে পেরেছি, বোমার আঘাতে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গিয়েছিল। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত ঢাকায় রেফার করি।

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, মঙ্গলবার সকালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কুদ্দুস বেপারীর লোকজন আমার সমর্থকদের বাড়ি লুটপাট করে। এসময় একজনের হাতও ভেঙে দেয়। পরে বুধবার রাতে কুদ্দুস বেপারী নিজে তার লোকজন নিয়ে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেলের আঘাতে আমার সমর্থক সজিবের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। আমি ঢাকায় আছি, এঘটনায় আমি মামলা করব।

তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, বুধবার রাতে মহরখাঁর কান্দিতে বসে আমার ৫/৬ জন লোক চা পান করছিল। এমন অবস্থায় জলিল মাদবরের সমর্থকরা ককটেল নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে আমার লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। যতটুকু জানতে পেরেছি, ধাওয়া দিতে গিয়ে জলিল মাদবরের ওই লোকটা বোমা নিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে গিয়েছিল। এরপর বোমা বিস্ফোরণ হয়ে সে আহত হয়।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমা বিস্ফোরণে সজিব নামে এক যুবক আহত হয়। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এঘটনায় মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook Comments

About T. M. Golam Mostafa

Check Also

দুজন চিকিৎসকে চলছে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদক: মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ কারণে …

কপি না করার জন্য ধন্যবাদ।