আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৭ মার্চ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ জন। এতে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন নুরুল আমিন দেওয়ান। আর পরাজিত হন চশমা প্রতীকের এইচ এম কামরুল ইসলাম, মোটরসাইকেল প্রতীকের ফজলুল হক (কাওছার মোল্লা) ও ঘোড়া প্রতীকের আব্দুল হাই খাঁন। নির্বাচনের পর থেকে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্কদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার বিজয়ী চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ানের সমর্থক নজির খা’র বাড়িতে হামলা চালায় পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরাজয় মেনে নিতে না পেরে পরাজিতরা কয়েকদিন ধরে মারামারির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকরা আমার সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে ও লোকজনকে আহত করেছে।’
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচএম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কারা কারা এ সংঘর্ষ করেছে আমি জানি না। তাছাড়া কী নিয়ে মারামারি তাও বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান আজকের শরীয়তপুরকে বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরাজিত তিন প্রার্থী ও বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় সখিপুর থানায় দু’পক্ষেরই মামলা রুজু করা হয়েছে।’
Facebook Comments