ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন হোক বিজয় দিবসের অঙ্গীকার
বাংলা-বাঙালীর হাজার বছরের স্বপ্ন আশা ছিল মহান বিজয় দিবস ঘিরে। সে স্বপ্ন আশা কতটুকু পূরণ হয়েছে বলা মুশকিল। এই বাংলার প্রতি শকুন দৃষ্টি হাজার বছরের। যুগে যুগে, বারে বারে পরাধীনতার জিঞ্জির বাঙালির হাতে পায়ে লেগেছে। এখনো লেগেছে। কিন্তু বীর বাঙালি তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বার বার তা প্রতিহত করেেেছ। তারা মগ, বর্গী, মারাঠাদের দমন-পীড়ন রোধ করেছে। বৃটিশ কে দু’শ বছর সংগ্রাম করে বিতাড়িত করেছে। উপনিবেশ শাসন-শোষনের দেয়াল ভেঙে উপমহাদেশীয় শাসন-শোষনের যাতাকলে নিপতিত হয়ে তারা ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করে ঘরে ফিরেছিল একবুক প্রত্যাশা নিয়ে। সে প্রত্যাশার দ্বারপ্রান্তে এখনো বাঙালি পৌঁছাতে পারেনি।
এখনো বাংলার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। এখনো শকুনের দৃষ্টি বাংলার প্রতি। এখনো ক্ষধা-দারিদ্র, অপসংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কাঙালিকে কুড়ে-কুড়ে খাচ্ছে। যা না বললেই নয়। দলে দলে দলাদলি জনে জনে হানাহানি। ধর্মে ধর্মে বিরোধ। ধনী-গরীবের বৈসম্য অসহনীয়। কালো টাকার দাপট। অন্যায় অনিয়ম, অবিচার চর্তুদিক গ্রাস করে আসছে। যা কারোই কাম্য ছিলনা।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের থিম ছিল সোনার বাংলার স্বপ্ন। যা আমরা পুরন করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ ভুলন্ঠিত। মুখে মুখে আমরা যতই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ফেনা তুলি। বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখছিনা। যা অতীব পরিতাপের বিষয়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনের সৌভাগ্য আমাদের হলেও মুক্তি যুদ্ধের কাঙ্খিত ফল আমরা পাইনি। ৭৫’এ মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে স্ব-পরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার মাধ্যমে বাংলা-বাঙালির গায়ে কালিমা লেপন করে-দীর্ঘ ২১ বছর স্বৈরাচারী দুঃশাসনের যাতাকলে জাতি নিস্পেসিত হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর নানা যাতন, নির্যাতন সহ্য করে অবশেষে ১৯৯৬ সনে জাতির জনকের কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা ক্ষত-বিক্ষত স্বদেশ মেরামতের কাজ শুরু করি। যা ২০০১ সনের জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণ করে থমকে দেয়। এরপর নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে অবশেষে ২০০৮ সনে পুনরায় জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে স্বপ্নের বাংলাদেশ বির্নিমানের কাজ শুরু হয়। যা ধারাবাহিক ভাবে চলমান। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে মহান বিজয় দিবসের স্বপ্ন-আশা পূরণ হবে। আমরা জাতি হিসেবে বিশে^র বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবো। তাই ৫১ তম বিজয় দিবসের থিম হোক ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
Facebook Comments