সারাদেশের সাথে শরীয়তপুরে ডেঙ্গু আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এ মুহুর্তেই মশা নিধনের কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তা না হলে মৃত্যুর মিছিল আরো ভারি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।
ইতোমধ্যেই ডেঙ্গুু আক্রান্ত হয়ে ২জন মৃত্যু বরণ করেছে এবং অসংখ্য ডেঙ্গুু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কেউ কেউ প্রাইভেট চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় হলো জেলায় ডেঙ্গু নিধনের কার্যকরি কোন ব্যবস্থা নেই। সারাদেশে ডেঙ্গুু মহামারি আকার ধারণ করেছে। শরীয়তপুর এর বাইরে নয়। পবিত্র ঈদ-উল-আযাহা সামনে রেখে ঢাকা থেকে প্রচুর মানুষ দেশে আসছে। ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত এসব অতিথিদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুু। ঈদে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবার সম্ভাবনাই বেশী। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিৎ। বিশেষ করে ঢাকা থেকে আগতদের তাৎক্ষনিক ডেঙ্গুু পরীক্ষা করা উচিৎ। এটা করতে পারলে ডেঙ্গুু অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা।
তাছাড়া পরিচ্ছন্নতা অভিযান, মশানিধন ঔষধ ছিটানো, ঘরে ঘরে ষ্প্রের ব্যবস্থা ইত্যাদি করা যেতে পারে। ডেঙ্গু বিরোধী প্রচারের মাধ্যমে জনসচেনতাসহ কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। ৩ দিনের বেশী কোথাও পানি জমে আছে কিনা তাও মনিটরিং করা দরকার। ভাঙ্গা বোতল, নারিকেলের মালা গর্ত, টিনের কৌটা, ফ্রিজের পানি, গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার টিউব, ৩ দিনের বেশী পানি যেন জমে না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। জ্বর হলেই ডেঙ্গুু পরীক্ষা করা দরকার। জ্বরে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ শুরু থেকেই ব্যবহার করা দরকার।
জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, অলি-গলিতে ভাঙ্গারী ব্যবসার দিকেও নজর দেয়া দরকার। স্তুপ আকারে জমা করা ভাঙ্গারী মালামাল থেকেও ডেঙ্গুু ছড়িয়ে পরতে পারে।
ঈদ-উল-আযাহা সামনে রেখে এখন থেকে কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া হলে ডেঙ্গুু রোধ করা সম্ভব।
Check Also
উপ-সম্পাদকীয়ঃ শরীয়তপুরের উন্নয়ন ভাবনা ও আমাদের করণীয়
বিপুল সম্ভাবনাময় অথচ অনুন্নত শরীয়তপুর জেলা। বৃহত্তম ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর অঞ্চলের পূর্ব মাদারীপুর খ্যাত বর্তমান …
Facebook Comments