“মুসলমানদের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে ইসলামি ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ সময়ের দাবি।” – সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী

টি. এম. গোলাম মোস্তফা:
মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, “একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বায়নের প্রভাবে, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে অপসংস্কৃতি আমাদের সমাজে জেঁকে বসেছে। বিশেষত তরুণরা বিপথগামীতার দিকে যাচ্ছে। অপসংস্কৃতির এ জোয়ার রুখতে ইসলামি ঐতিহ্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ সময়ের দাবি। ইসলামেরও গৌরবময় শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় চর্চা ও উদাসীনতার কারণে মুসলমানরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য, ঐতিহ্য ভুলে অপসংস্কৃতিতে প্রভাবিত হচ্ছে। পবিত্র ‘ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ) ‘, পবিত্র শব-ই-মিরাজ, পবিত্র শব-ই-বরাত, পবিত্র শব-ই-কদর, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, আখেরী চাহার শোম্বা, আল্লাহর অলিগণের খোশরোজ শরীফ, ওরশ শরীফ উদযাপন, ইসলামি হামদ, নাতে রাসুল (দ), শানে মুস্তাফা (দ), ইসলামি ক্যালিগ্রাফি, তিলাওয়াত-এ-কুরআন, মাহ্ফিল-এ-সেমা ইত্যাদি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যুগোপযোগীভাবে তরুণদের মাঝে তুলে ধরতে পারলে তারা সুস্থ ধারার সংস্কৃতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার জন্য কাজ করবে এবং একটি আলোকিত সমাজ আমাদেরকে উপহার দেবে। এ মহৎ লক্ষ্য নিয়ে ‘মইনীয়া ইসলামি সাংস্কৃতিক ফোরাম’, ‘হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংগঠনগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামি সংস্কৃতির প্রচার প্রসারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। সংস্কৃতি একটি জাতির প্রাণশক্তি। তাই মুসলমানদের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে, বিশ্বজুড়ে ইসলামি সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে হবে। ওআইসিসহ মুসলিম সংস্থা, সংগঠনগুলোর এ বিষয়ে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা আমরা আশা করছি।”
১৫ই মার্চ, ২০২২ মধ্যরাতে “পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ)” উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে মতলব দক্ষীনে নায়েরগাঁও খানকা ময়দানে আয়োজিত এক সুন্নী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মূফতি হাফেজ মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান মাইজভাণ্ডারী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

Facebook Comments

About T. M. Golam Mostafa

Check Also

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবছরও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ

আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদক: এস এস সি পরীক্ষার ফলাফলে বরাবরের ন্যায় এবছরও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে শরীয়তপুরের …

কপি না করার জন্য ধন্যবাদ।