মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে সারাদেশ
টি. এম. গোলাম মোস্তফাঃ
জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। একাত্তোরে একটি সদ্য স্বাধীন দেশের নেতৃত্ব মাথায় নিয়ে জাতির জনক যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশ গঠনের কাজে আত্ম নিবেদিত যখন দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ঠিক তখনই পরাজিত শক্তির গভীর ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শহীদ হন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ পরাজিত শক্তির দখলে চলে যায়। পরাজিত শক্তি দেশকে নরকে পরিণত করে। দেশবাসীর মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন জাতির জনকের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে ১৯৯৬ সালে স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে জনতার বিপুল সমর্থনে শেখ হাসিনা হায়না-শকুন তাড়িয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়।
দেশের নেতৃত্ব হাতে নিয়েই তিনি নানা উন্নযন পরিকল্পনা করে স্বল্প সময়ে দেশকে এগিয়ে নিতে থাকেন। কিন্তু এ অগ্রযাত্রা শত্রুদের ব্যথিত করে। নানা ষড়যন্ত্র করে ২০০১ সনের নির্বাচনে জনতাকে কাঁদিয়ে জনরায় ছিনতাই করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার জাতির ঘারে চেপে বসে। তাদের অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন, জালাও-পোড়াও ইত্যাতি দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জনগণ ফুসে ওঠে। ঠিক তখনই তাদের দোসর, ফখরউদ্দিন, ইয়াজদ্দিন ও মইনু আহমেদের ভুতুরে সরকার তাদের বাঁচাতে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জাতির ঘারে চেপে বসেন। কিন্তু বেশিদিন তারা স্থায়ী হতে পারেনি, তারা রক্ষা করতে পারেনি বিএনপি জামায়াত জোটের শকুনদের। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ সনে জনগণ বিপুল ভোটে অপশক্তিকে হটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আনেন।
এরপর শুরু হয় নতুন করে বাংলাদেশ ঢেলে সাজানোর কাজ। একে-একে গড়ে ওঠে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল সহ শত-শত মেগা প্রকল্প। দেশ হয় সমৃদ্ধ। দারিদ্রতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়।জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত থেকে উন্নত হয়। এটা সহ্য হচ্ছেনা অপশক্তির তারা দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
কোন ষড়যন্ত্রই শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রোধ করতে পারবেনা। সকল অপশক্তির চক্রান্ত ছিন্ন করে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাবে। তার পাশে সারা দেশ।
Facebook Comments