গোসাইরহাট উপজেলায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন

আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদকঃ

আসন্ন ৩য় ধাপে ২৮ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুর জেলার গোসাইহাট উপজেলায় নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা ব্যাপক ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের নির্বাচনী কার্যক্রমের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় গোসাইরহাট ইউনিয়ন এবং নাগেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন এবং প্রচারণা গেট এখনো বিদ্যমান রয়েছে।

বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায় শুধু গোসাইরহাট ইউনিয়ন ও নাগেরপাড়া ইউনিয়নই নয় উপজেলার সমস্ত ইউনিয়নই নির্বাচনী আচরণ বিধি উপেক্ষা করছে মেম্বার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তারা মিছিল মিটিং সহ অন্যান্য সব বিধিই লঙ্ঘন করছেন তারা মানছেন না কোন আইন। প্রচারণা চালাচ্ছেন নিজের মত করে।

উক্ত ব্যানার এবং ফেস্টুনে প্রার্থীর ছবি সহ এবং জেলার আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ছবি পরিলক্ষিত হয়।

নাড়গরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল (চশমা মার্কা) এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল খান (আনারস মার্কা) সে এলাকায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন এবং প্রচারণা গেট করেছে যা নির্বাচন আচরণ বিধির পরিপন্থী।

 

 

 

 

 

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ার পরেও মোজাম্মেল খান ফোনটি রিসিভ করেন নি।

অন্যদিকে গোসাইরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী চৌধুরী আহসান সিদ্দিকী(লাবু) (মোটর সাইকেল মার্কা ) এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আসাদুজ্জামান রিপন সরদার (আনারস মার্কা) স্থানীয় এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমার প্রচারণায় বাধা এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি উপেক্ষা করে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ছবি সহকারে রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন এবং প্রচারণা গেট করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

 

 

 

 

এই অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসাদুজ্জামান রিপন সরদার (আনারস মার্কা) বলেন, রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন এবং প্রচারণা গেট করলে যে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয় তা আমার জানা নেই।

 

 

 

 

 

যদিও নির্বাচনের আগে এসমস্ত প্রচারণার ব্যানার করা হয়েছিল কিন্তু প্রতীক পাওয়ার পর এসমস্ত ব্যানার অপসারণ করা হয়নি এখনো বহাল থাকায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।+

এ বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন মুঠোফোনে আজকের শরীয়তপুরকে বলেন, কোন চেয়াম্যান প্রার্থীর গেট করার অনুমতি নেই, আপনারা তথ্য সংগ্রহ করে আমাকে দিন। আমি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে ম্যাজিট্রেট পাঠিয়ে দেব।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোঃ আলমগীর হোসাইন বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।

Facebook Comments

About T. M. Golam Mostafa

Check Also

বিএনপি নিজেরা আন্দোলন করতে না পেরে অন্যের কাঁধে ভর করে এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়: উপমন্ত্রী শামীম

আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদক: আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার শক্তি বিএনপির নাই বলে মন্তব্য করেছেন …

কপি না করার জন্য ধন্যবাদ।