আব্দুল বারেক ভূইঁয়াঃ
শরীয়তপুরে ৯৩ টি মন্ডপে পালিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসব। ভারতীয় পুরানে বলা হয়েচে রাজা শৎচন্দ্র প্রথম দূর্গা পূজা উদযাপন করেন। পরবর্ততে রাজা রাম চন্দ্র অকালে দূর্গা পূজা পালন করেন। পূর্বে এ পূজা বাসন্তী পূজা নামে পরিচিত ছিলো। রামচন্দ্র শরৎকালে এ পূজা করায় এ পূজাকে অকাল বোধন বলা হয়। এ বছর শরীয়তপুর জেলার ৬ টি উপজেলার ৯৩ টি মন্ডপে এই দূর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যলায় সূত্রে জানা যায় যে, আগামী ১১ অক্টেবর মঙ্গলবার থেকে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব কার্যক্রম শুরু হবে। আনন্দমূখর পরিবেশে মেতে উঠেছে পূঁজামন্ডপ। প্রতিটি পূঁজামন্ডপে চলছে প্রতিমা সজ্জিত করার কাজ। বিভিন্ন হাট বাজার ও শপিং মহলে দেখা যাচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের নতুন পোষাক কেনা কাটার ভির। পূঁজামন্ডপে আগত ভক্তদের আহার্য্যের জন্য বাংলাদেশ ত্রাণ মন্ত্রনালয় অধিদপ্ত এর পক্ষে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ৯৩ টি পূজা মন্ডপে ৪৬.৫০০ মেট্রিক টন ত্রাণের চাউল বরাদ্দ দিয়েছেন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা ২৯ টি, পূঁজামন্ডপে ১৪.৫০০ মেট্রিক টন, নড়িয়া উপজেলা ২৯ টি, পূঁজামন্ডপে ১৪.৫০০ মেট্রিক টন, জাজিরা উপজেলা ৫ টি, পূজা মন্ডপে ২.৫০০ মেট্রিক টন, ভেদরগঞ্জ ১৭ টি, পূজামন্ডপে ৮.৫০০ মেট্রিক টন, ডামুড্যা উপজেলা ৬ টি, পূঁজামন্ডপে ৩.০০০ মেট্রিক টন, গোসাইরহাট উপজেলা ৭ টি পূঁজামন্ডপে ৩.৫০০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শারদীয় দূর্গাপূঁজা উৎসব উৎযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আস্বস্ত করা হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের মহা উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এই দুর্গা পূজা উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Facebook Comments