করোনা মোকাবেলায় চলতি বাজেট কার্যকরী ভূমিকা রাখবে
২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট ইতোমধ্যেই জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। গত ৩ জুন অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেছেন। অর্থ মন্ত্রী এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে নতুন কোন চমক না থাকলেও সার্বিক ভাবে বাজেটটি গ্রহণযোগ্য বলা যেতে পারে। তবে বরাবরের মতই বাজেটে ঘাটতি রয়েছে। বাজেট ঘাটতি পুরণের বৈদেশিক ঋণ ও ব্যাংক থেকে ধার নেওয়ার কথা বলা হলেওে এতে বিরাট অংকের সুদ গুনতে হবে। এন বি আর থেকে যে পরিমাণ অর্থের যোগান হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে তা কতটুকু পূরণ হবে তাও বলা মুশকিল। বিগত বাজেটে এন বি আর তাদের লক্ষ্য মাত্রা পুরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে চলতি বাজেট তা কতটুকু সম্ভব হবে তা আগের ভাগে বলা মুশকিল। বাজেটে করের পরিমাণ বৃদ্ধি না করে করের আওতা বাড়ানো হয়েছে। বাজেটের সর্ব উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে কালোটাকা সাদা করার রীতি কিছু পরিবর্তন করে ঢালাও ভাবে না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এত করে দূর্নীতি কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। বাজেটে হতাশা জনক দিক হচ্ছে শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়নি। করোনাকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে নেয়ার কোন দিক নির্দেশনা চলতি বাজেটে নেই।
স্বাস্থ্য খাতকে আর একটু গুরুত্ব প্রদান করে বরাদ্দ বাড়ানো যেত। বিগত বাজেট থেকে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ একটু বেশি হলে তা প্রয়োজনের তুলনায় একটু কমই বটে। তবে করোনা মোকাবেলা দিক নির্দেশনা চলতি বাজেটে যথাযথই আছে।
তা ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তাকেও যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় বিশেষ বরাদ্দ সন্তেষজনক। মোটা দাগে ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন হলে এবং দূর্নীতি রুখতে পারলে নানা আলোচনা, সমালোচনার পরও প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে করোনা মোকাবেলা করে প্রবৃদ্ধি চলমান থাকবে এ প্রত্যাশা করতেই পারি।
Facebook Comments