হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের’ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত কয়েকদিনের ঘটনার  পর ২৯ মার্চ সোমবার সেখানে স্বাভাবিক পরিবেশ অনেকটা ফিরে এসেছে। শহরের রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতিও বেশ বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন। ২৯ মার্চ সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।

ডিআইজি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এখানকার প্রতিটি ঘটনার জন্যই মামলা হবে। আমরা গতকাল এখানে বিভিন্ন জায়গায় যে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ হয়েছে, সেগুলো পরিদর্শন করছি, দেখছি। এটা একেবারেই হৃদয়বিদারক। আমাদের একটি থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে একটি একাডেমি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে ২৮ মার্চ রোববার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সকাল থেকেই হরতাল সমর্থকেরা বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে। ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এসব বিষয়ে তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে।

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল থেকে গতকাল বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া একটি মন্দিরের প্রতিমাও ভাঙচুর করা হয়।

 

 

 

 

Facebook Comments

About T. M. Golam Mostafa

কপি না করার জন্য ধন্যবাদ।