আ:বারেক ভূইঁয়া :
শরীয়তপুরে হঠাৎ করে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ । শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ফলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ।পরিস্থিতির শিকার হয়ে রোগীরা ওয়ার্ড ছাড়িয়ে মেঝেতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন ।
১ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ৪২৯ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানা যায়। এদের মধ্যে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৭ মার্চ শনিবার সকাল থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৬ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
শরীয়তপুর পৌরসভার ডায়রিয়া আক্রান্ত রাইয়ানের (৩) বাবা রিয়াজুল মাদবর বলেন, রোববার সকালে আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। কিন্তু হাসপাতালে বেড না পেয়ে তাকে মেঝেতে রাখতে হয়। এরপর রোগী কমলে বেডে নেয়া হয়। আইভি স্যালাইন, রাইস স্যালাইন দোকান থেকে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ পাইনি।
ডায়রিয়া আক্রান্ত বকুল চন্দ্র ঋষি দাস (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানে যে অবস্থা এতে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছি। হাসপাতালে এসে বেড পাইনি। চাদর বিছিয়ে মেঝেতে শুয়েছি। দুইটি মাত্র শৌচাগার রয়েছে এখানে। তার অবস্থাও করুণ।
সদর হাসপাতালেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সিবু রায় বলেন, বেশি রোগী থাকলে দুইজন করে এবং কম থাকলে একজন নার্স রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আইভি স্যালাইনও শেষ হয়েছে অনেকদিন আগে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রয়েছে ১৪টি বেড। বেডের চেয়ে রোগী বেশি। তাই মেঝেতে রাখতে হচ্ছে রোগীদের।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। এতে হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হঠাৎ গরম পড়ায় ডায়রিয়া ও জ্বরসহ বিভিন্ন ধরনের রোগী বেড়েছে। সাধ্যমত রোগীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।
Facebook Comments