আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদকঃ
মা একটি শব্দ। যে শব্দের কোন তুলনা হয়না। পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী, সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে বিশুদ্ধ শব্দ হলো মা। মায়ের ঋণ শোধ করার মতো কোন সম্পদ পৃথিবীতে নেই। সে মা যখন নিগৃহিত হয়, লাঞ্চিত হয় তখন মহান রাব্বুল আলামীনের আরশ কেঁপে ওঠে। যারা পরম রত্ন মাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে নিশ্চয় তারা কুলাঙ্গার। মা নির্যাতনকারী একজন কুলাঙ্গার ভেদেরগঞ্জ উপজেলাধীন চরসেনসাস ইউনিয়নের চরনরসিংহপুর গ্রামের নুরু মিয়া দেওয়ানের ছেলে হানিফ দেওয়ান। সরেজমিন ঘুরে, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্পর্ষ্টভাবে জানা যায়, হানিফ দেওয়ান দীর্ঘদিন যাবত আপন মা মুনসুরত ( ৭৪ ) কে নানা ভাবে নির্যাতন করতেছেন। হানিফ তার বৃদ্ধা বাবা নুরু মিয়াকে নানা কৌশলে আটকে রাখে পারিবারিক সহায় সম্পত্বি মা সহ অন্য ৫ ভাই ও ১ বোনকে বঞ্চিত করে নিজ নামে লিখে নিতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় চরসেনসাস ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হওয়ার কারণে এলাকার কেউ হানিফের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না। ভাই বোনদের মধ্যে হানিফ অত্যন্ত প্রভাবশালী। তার এসব অপকর্মের প্রধান সহায়তাকারী হচ্ছেন ৭ নং চরনরসিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আছিয়া বেগম। এলাকার সকল শ্রেণীপেশার লোকজন হানিফের উপর চরম ক্ষুব্দ। ইতো মধ্যে সে মা সহ ভাই-বোনদের দফায়-দফায় মারধর করেছেন। মা, ভাই-বোনদের সম্পর্কে অশ্লীল ও মিথ্যা ঘটনা রটিয়েছেন। পিতা নুরু মিয়া দেওয়ানকে কৌশলে হাতের মুঠোয় রেখে হানিফ দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছেন। তার নির্যাতনে মা মুনসুরত ভেদেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সখিপুর থানায় অভিযোগ করে দীর্ঘ দিনেও প্রতিকার না পেয়ে গত ৮ নভেম্বর পুলিশ সুপার শরীয়তপুরের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন। কুলাঙ্গার হানিফ গত ১৮ অক্টেবর তার বাবাকে চাপ দিয়ে জোর পূর্বক তার মা ও অন্যান্য ভাই-বোনদের আসামী করে শরীয়পুতর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। নিরপায় মা নিজে এবং অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের জান-মাল রক্ষার প্রত্যয়ে একটি পাল্টা মামলা করেছেন। এ বিষয়ে হানিফ মেম্বার বলেন এটা আমার পারিবারিক ঝামেলা। আমি অনেক চেষ্টা করছি আমার মা ও ভাই বোন কোন কথা শুনছেন না। এ প্রসঙ্গে চরসেনসাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী জানান সামাজিক ভাবে বিষয়টি মিমাংশা করতে আমি চেষ্টা করেছি। ওরা কাউকে মানছেন না। আজকের শরীয়তপুর কে মোঠোফোনে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি আমি পর্যবেক্ষণ করেতেছি। প্রয়োজন হলে আরো কঠোর হবো।

Facebook Comments