স্টাফ রিপোর্টারঃ শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি হচ্ছে। বিভিন্ন উৎসবের দোহাই দিয়ে নানা ধরনের “চান্দা” এখানে রেওয়াজ হয়ে উঠেছে। এতে অতিষ্ঠ মংলা চট্টগ্রাম মহা সড়কের বাস, ট্রাক সহ অন্যান্য যানবাহনের চালকরা।
বিআইডব্লিওটিসির দায়িত্বরত স্টাফ ও স্থানীয় একটি চাঁদাবাজ চক্র এর সঙ্গে জড়িত। স্পেশাল সার্ভিস চাঁদা, বোনাস চাঁদা, রশিদ বিহীন অতিরিক্ত আদায়কৃত চাঁদা ইত্যাদি নামে নানা ধরনের চাঁদাবাজি চলছে এ ঘাটে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দুই স্তরের এ চাঁদাবাজির মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এ সব যানবাহন থেকে চাঁদাবাজরা ২০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা হারে চাঁদা আদায় করে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এখানকার নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতি। গাড়ি চালক ও স্থানীয় তথ্যমতে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটে চাঁদাবাজিতে জড়িত রয়েছেন বিআইডব্লিও টিসির কতিপয় অসাধু স্টাফ। এ অসাধু স্টাফরা প্রতিটি কাঁচামাল বোঝাই গাড়িকে ১৪৫০ টাকার রশিদ দিয়ে ১৮৫০ টাকা এবং ১৮৫০ টাকার রশিদ দিয়ে ২২৫০ টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিও টিসির সহকারী ম্যানেজার আব্দুল মমিন বহিরাগতদের চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করলেও বিআইডব্লিও টিসির স্টাফদের চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সখিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক মুঠোফোনে বলেন, এখন আর চাঁদাবাজি হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়েছি। ২৪ ঘন্টা পুলিশ টহল দিচ্ছে”।
Check Also
বিএনপি নিজেরা আন্দোলন করতে না পেরে অন্যের কাঁধে ভর করে এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়: উপমন্ত্রী শামীম
আজকের শরীয়তপুর প্রতিবেদক: আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার শক্তি বিএনপির নাই বলে মন্তব্য করেছেন …
Facebook Comments