মোঃ নাসির খান// পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব নয়। যানবাহনে চলাচল করতে হয়। তারপরও যানবাহন যেতে চায় না লক্কর-ঝক্কর সড়কটি দিয়ে। আর একটু বৃষ্টি হলেই ভেদরগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পরিণত হয় অবহেলিত কোনো মফস্বলের সড়কে। ইচ্ছে করলে চাষ দিয়ে ধান রোপণও করে ফেলা যায়।
ভেদরগঞ্জ শহরের সরকারি হাসপাতালের রোড। প্রায় ৫০০ মিটার এই সড়কের বেহাল দশা গেল ৪-৫ বছর ধরে। এই সড়কের পাশে রয়েছে ডাক-বাংলো ও উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়, রামভদ্রপুর ইউনিয়ন তহসিল অফিস,সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় সহ উপজেলা ৫০শয্যা স্বাস্থ্য কমপেক্স। এই সড়কে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করে।
সড়কের এ বেহাল দশা নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সাইদুল ইসলাম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভাই, কতো রাস্তাই তো ঠিক হয়, কিন্তু আমাদের এ রাস্তাটা ঠিক হচ্ছে না কেন, বলতে পারেন? ৩ বছর ধরে এভাবেই পড়ে আছে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন রনি মুন্সী তিনি বলেন, সড়কটি এ এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের পাশেই আছে ভেদরগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল।
এখানে প্রতিদিন কতো রোগী আসে, অপারেশনের রোগীও আসে, কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে মারাত্মক ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের।এছাড়াও প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেতে খেতে এই সড়কে যান চলাচল করে।
যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এই সড়কে একটি হাসপাতাল তা ছাড়াও ভেদরগঞ্জ পৌরসভা অফিস আছে।
এ বিষয় ভেদরগঞ্জ উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী অফিসার আক্তার হোসেন জানান, ডাক-বাংলোর মোড় থেকে পলিটেকনিক কলেজ পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির কারণে পানি জমে নানা খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। তবে জনসার্থে আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদফতরে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।
Facebook Comments